প্রকৃতির এক বিস্ময়কর শক্তিশালী ধাতু টংস্টেন!

প্রকৃতিতে পাওয়া এক অতিভারি, বিরল এবং শক্তিশালী ধাতু হচ্ছে টংস্টেন। এটির রাসায়নিক উপাদানের প্রতীক হচ্ছে ডাব্লিউ এবং এর পারমাণবিক সংখ্যা হচ্ছে ৭৪। বর্তমানে সারা বিশ্বে টংস্টেনের আনুমানিক রয়েছে প্রায় ৩২ লক্ষ টন। যার প্রায় ৬০% রয়েছে চীনে।

Nov 2, 2024 - 12:00
প্রকৃতির এক বিস্ময়কর শক্তিশালী ধাতু টংস্টেন!

এটি একটি বিরল ধাতু যা প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীতে প্রায় একচেটিয়াভাবে অন্যান্য উপাদানের সাথে যৌগ হিসাবে পাওয়া যায়। হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং মেটাল হিসেবে পরিচিত টংস্টেন এর ঘনত্ব ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১৯.৩৫ গ্রাম/সেমি৩।

এর প্রসার্য (টেনসিল স্ট্রেনথ) শক্তি হচ্ছে ১ লক্ষ ৪২ হাজার পিএসআই। তাছাড়া এর গলনাঙ্ক হচ্ছে ৩,৬৯৫ কেলভিন এবং স্ফুটনাঙ্ক হচ্ছে ৫ হাজার ৫৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টংস্টেন -II থেকে VI পর্যন্ত জারণ অবস্থায় রাসায়নিক যৌগ গঠন করে। 

১৭৮১ সালে টংস্টেনকে একটি স্বতন্ত্র উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং ১৭৮৩ সালে একটি ধাতু হিসাবে প্রথম বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। দুর্লভ ধাতু হিসেবে টংস্টেন প্রকৃতিতে একে বিশুদ্ধ মৌল রূপে পাওয়া যায় না, তবে আকরিক যৌগ হিসেবে পাওয়া যায়। 

এই দুর্লভ এবং অতি ভারি টংস্টেন ধাতুকে মূলত রাইফেলের বুলেট, সার্জিক্যাল উপাদান, লাইট বাল্বের ফিলামেন্ট এবং হিটিং ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের আন্তঃসংযোগকারী উপাদান হিসাবে সমন্বিত সার্কিটে এটি ব্যবহৃত হয়। 

এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনের টারবাইন ব্লেড, রকেট-ইঞ্জিনের অগ্রভাগ এবং ডার্টের জন্য খাদ তৈরি করতে টংস্টেনকে অন্যান্য ধাতুর সাথে মিশ্রণ করে উন্নত ও মজবুত এ্যালয় তৈরি করতে টংস্টেন ধাতু ব্যবহার করা হয়।

তথ্যসূত্র: ইউকিপিডিয়া।

Sherazur Rahman

Sherazur Rahman (সিরাজুর রহমান) Assistant Teacher and Writer, Singra, Natore, Bangladesh.