মহাবিশ্বের ছড়িয়ে থাকা রহস্যময় গ্যালাক্সির অস্তিত্ব!
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নিবিড় স্টাডি, গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দৃশ্যমান মহাবিশ্বের বর্তমান আকার বা বিস্তৃতি হতে পারে আনুমানিক ৯৩ বিলিয়ন লাইটইয়ার। যা প্রতিনিয়ত বিগ ব্যাং এর থিওরি মতে সম্প্রসারণ লাভ করছে।
তবে এই সুবিশাল আকারের মহাবিশ্বে ঠিক কতটি গ্যালাক্সি রয়েছে এখনো পর্যন্ত তা সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেননি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যদিও বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মনে করা হতো এই মহাবিশ্বে আনুমানিক ১০০ থেকে ২০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সি থাকতে পারে।
তবে বর্তমানে জেমস ওয়েব এবং ইউক্লিড টেলিস্কোপের মতো উচ্চ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এক বিংশ শতাব্দীতে এসে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, এই সুবিশাল মহাবিশ্বে হয়ত প্রায় ২ ট্রিলিয়ন বা তার অধিক গ্যালাক্সির অস্তিত্ব থাকতে পারে। যা কিনা সংখ্যার হিসেবে হবে হয়ত প্রায় ২০,০০,০০,০০,০০,০০০টি।
তবে ২১০০ সালের পরে ভবিষ্যতে গ্যালাক্সির অস্তিত্ব এবং এর সংখ্যা সংক্রান্ত বর্তমান ধারণা হয়ত পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে কিংবা এমনকি মহাবিশ্ব সৃষ্টির মূল বিগ ব্যাং থিওরি ভুল প্রমাণিত করে নতুন কোন মহাজাগতিক ধ্যান ধারণা কিংবা নতুন থিওরি নিয়ে স্টাডি শুরু করতে পারেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
আসলে বিজ্ঞান মানেই কিন্তু চিন্তার ইতিবাচক পরিবর্তন এবং মানব জাতির কল্যাণে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে যুগের পর যুগ এগিয়ে যাওয়া। আজ যে ধারণা বিজ্ঞানের ভাষায় সঠিক বলে মনে হচ্ছে, তা ভবিষ্যতের উচ্চ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এবং নতুন তাত্ত্বিক ও যৌক্তিক ধ্যান ধারণায় হয়ত মূল ধারণাটি একেবারেই বদলে যেতে পারে।
আর এটা নিয়ে কিন্তু অহেতুক সমালোচনা কিংবা উপহাস করার কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞান একটি ধারাবাহিক এবং চলমান প্রক্রিয়া। যা হাজার হাজার বছর ব্যাপী বিকশিত লাভ করে এতটা উন্নত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
তবে মানবজাতি টিকে থাকলে শতবর্ষ ব্যাপী এর বিবর্তন, পরিবর্তন এবং চরম মাত্রায় আধুনিকায়ন চলতেই থাকবে। যদিও অবশ্য বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আমাদের মানবসভ্যতা এখনো পর্যন্ত টাইপ ওয়ান সিভিলাইজেশ্যন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি।
Sherazur Rahman