ভবিষ্যতের নিউক্লিয়ার ফিউশন (হট প্লাজমা) রকেট প্রোপালশন সিস্টেম!
গত কয়েক বছর থেকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মহাকাশযান ও রকেট ইঞ্জিন ডেভলপমেন্ট স্টার্ট-আপ কোম্পানি 'পালসার ফিউশন' নতুন প্রজন্মের এক অত্যন্ত শক্তিশালী নিউক্লিয়ার ফিউশন রকেট ইঞ্জিন বা প্রপালশন সিস্টেম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যদিও আপাতত এটি হচ্ছে একেবারে পরীক্ষামূলক বা প্রটোটাইপ জাতীয় হাইব্রিড নিউক্লিয়ার পাওয়ারড রকেট প্রোপালশন সিস্টেম প্রজেক্ট। এই 'পালসারা ফিউশন' কোম্পানিটি গত ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
'পালসার ফিউশন' আগামী ২০২৭ সালের দিকে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ প্রযুক্তির এই নিউক্লিয়ার ফিউশন রকেট পরীক্ষা করার বিষয়ে প্রবলভাবে আশাবাদী। তাদের দেয়া তথ্যমতে, নতুন প্রজন্মের এই নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রপালশন সিস্টেমটি মহাকাশে প্রতি ঘণ্টায় ৫ লক্ষ মাইল কিংবা ৮,০৪,৬৭২ কিলোমিটার গতিতে ছুটে যেতে পারবে।
সে হিসেবে এই হাইপার ফাস্ট টেকনোলজির নিউক্লিয়ার প্রোপালশন সিস্টেম মাত্র ৩০ দিনেই মঙ্গলগ্রহে পৌঁছে যেতে পারবে। তাছাড়া এই রকেটে প্রিন্সটন ফিল্ড-রিভার্স কনফিগারেশন (PFRC-2) নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করা হবে এবং এটি কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে মিলিয়ন ডিগ্রির অধিক হট প্লাজমা জেনারেট করবে। তাছাড়া এই হট প্লাজমা নিয়ন্ত্রণ করতে একটি উচ্চ প্রযুক্তির ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ইনস্টল করা হবে।
আর এই হট প্লাজমা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রকেট অবিশ্বাস্য গতিতে মহাকাশে তার স্পেস মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। যদিও বিষয়টি এখনও পর্যন্ত একেবারেই তাত্ত্বিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। তবে পালসার ফিউশন তাদের এই নেক্সট জেনারেশন রকেট প্রোপালশন প্রজেক্ট সফল করতে গত ২০২৩ সালের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্টার্ট-আপ ফার্ম প্রিন্সটন স্যাটেলাইট সিস্টেমের সাথে একটি সহযোগিতামূলক চুক্তি সম্পন্ন করে।
এই প্রজেক্ট আগামী ২০৩০ সাল থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে সফল হলে মহাকাশচারী নিয়ে অসীম মহাকাশে স্পেস মিশন পরিচালনা করায় হয়ত এক নতুন যুগের সূচনা করবে। তবে বর্তমানে প্রচলিত ফুয়েল বেসড রকেট প্রোপালশন সিস্টেম দ্বারা নভোচারী নিয়ে তীব্র গতিতে অসীম মহাকাশে ছুটে বেড়ানোর মতো আপাতত কোন সুযোগ নেই।
তথ্যসূত্রঃ ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার নিউজ, পালসার ফিউশন, বিবিসি, ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।